তেলেভাজার দোকানের কালো কড়ায় টগবগে তেলের মধ্যে আকুলিবিকুলি করতে থাকা আলুর চপের ফ্যাকাসে হলুদ থেকে সোনালী, সোনালী থেকে বাদামী হয়ে ওঠার মুচমুচে দৃশ্য দেখে যে চাঞ্চল্য বুক এবং মুখের মধ্যে সঞ্চারিত হয়, তার থেকেই বুঝতে পারি, শীতকাল এসে গেছে। বালিশের রোদ রোদ গন্ধ, সপ্তাহান্তের মিষ্টি মিষ্টি কাজু কিশমিশ কড়াইশুঁটি গাজর দেওয়া ফ্রায়েড রাইসও মনে করিয়ে দেয়, এ পৌষমাস - এ সময় সর্বনাশের নয়। জেলুসিলের শিশি এখন কদিন ভুলে থাকলেও চলবে। সাদা মূলো, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মাখা জূঁঈফূলের মত এক বাটি মুড়ি আর ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপের কাছে ফিরব বলে ছটা বাজার পাঁচ মিনিট আগেই অফ করি অফিসের কম্পিউটার। খাদি থেকে কেনা কাঁচের শিশির মধু কড়মড়ে টোষ্টের গায়ে আদর করে লেপ্টে যাবে বলে মুখিয়ে থাকে। সকালের সব্জি বাজার চকচকে টমেটো, বেগুন, পেঁয়াজকলি, সাজিয়ে মুখ টিপে হাসে। রবিবার ভোরে রেলের ওপার থেকে মাটির কলসির মুখে উদগ্রীব ফেনার যৌবন সাজিয়ে হেঁকে যায় খেজুরের রসওয়ালা। সাধারণ পায়েস রসগোল্লায় কোন ম্যাজিকে কে জানে, আচমকা মিশে যায় খেজুর গুড়ের হাত নিশপিশ করা গন্ধ।
আঁচলে পৌষ-মাঘ বেঁধে জিভ দিয়ে শুষে নি শীতের রঙিন আদর।
onobodyo.. Sheet kal ke jeno chuye dekhte parlam ei shobder setu die...
ReplyDelete