Thursday, December 18, 2014

কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে

অপার্থিব কথাটার মানে বুঝেছিলাম গত কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে| সন্ধ্যে তখন সাতটা হবে| ভুটানের পুনাখায় নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি| ওপারে পুনাখা জঙ হলুদ আলো মেখে ঘুমে| পাহাড়ের মাথাগুলো অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়েছে| মাঝে মাঝে দূর থেকে টুরিস্ট, ড্রাইভারদের কথা হাসির টুকরো শব্দ ছিটকে আসছে কানে| ক্যামেরা আর ফোনের চার্জ শেষ| সময়ও| গাড়ি অপেক্ষা করছে| ওয়াঙদিফদ্রং যেতে হবে| হঠাত কী মনে করে কে জানে, একটা বিশাল বিকট চাঁদ পাহাড়ের আড়াল থেকে বিনা ভূমিকায় বেরিয়ে এল| অন্ধকারে নদীর রুপোলি আলো চোখের তারা ছুঁলো| মনে পড়ে গেল আজ কোজাগরী পূর্ণিমা| বুকের ভেতর ফুলে ফুলে উঠতে লাগলো জোয়ারের জল - ভরা কোটালের ঢেউ মাংসগন্ধ পাওয়া বেপরোয়া যুবতীর মতো চাঁদের দিকে ছুঁড়তে লাগলো ফেনিল ইশারা| মহীনের ঘোড়াগুলি ঘাস খেতেই থাকলো কার্তিকের জ্যোত্স্নার প্রান্তরে| হৃতপিন্ডের তালে তালেই প্রায় একটা একটা পাড়ের নুড়ি গলে মিশে যায় তরল রুপোয়| তলপেট, কোমর, বুক ছাপিয়ে ওঠে রুপোলি জল| গাড়ির ড্রাইভার অধৈর্য্য আঙুল চাপে হর্নে| 

এত সুন্দর আমি জীবনে দেখিনি!

No comments:

Post a Comment