Monday, March 7, 2016

শিবরাত্রির সলতে

স্থান - কৈলাশ
শিবরাত্রির দিন দ্বিপ্রহর
শিবঠাকুর শুয়ে আছেন। দু পাশে নন্দী আর ভৃঙ্গি বাবাকে আগলে বসে। একজন বাতাস করছে আরেকজন কল্কে সাজছে।

শিবঠাকুর - আহ মা মাগো মরে গেলাম। এর কি শেষ নেই?
নন্দী - আর তো বাবা এই একটা দিনেরই ব্যপার। একটু সহ্য করে নিন বাবা।
শিবঠাকুর - হ্যাঁ রে ওদের প্রাণে কি দয়ামায়া নেই রে? এইভাবে...ওরে বাবারে বাবা একেবারে চেপে ধরেছে গো। এই যা তো তোদের মা কে ডেকে নিয়ে আয়
ভৃঙ্গি - আজ্ঞে বাবা মা তো এই সবে গেলেন। ওনারও তো সকাল থেকে কম ধকল যাচ্ছে না।
শিবঠাকুর - মোলো যা ওনার আবার কীসের ধকল শুনি?
নন্দী - ইয়ে মানে মায়ের হাত ব্যাথা হয়ে গেছে বাবা। একটু রসুন তেল গরম করে মালিশ করতে গেছেন।
শিবঠাকুর - বটে! ওই তেল নিয়ে আসতে বলে দে আসার সময়। আমাকেও যেন একটু করে দেয়। মালিশ।
ভৃঙ্গি - বলে আসছি বাবা।
নন্দী - বাবা
শিবঠাকুর - হুম
নন্দী - বলছি আমার আইডিয়াটা কেমন ছিল বাবা? অন্যবারের চেয়ে এবারে কষ্ট কম বোধ করছেন?
শিবঠাকুর - কীসের পিন্ডি কষ্ট কম বল দেখি! দু মিনিট পর পর খুলে ফেলে পালটে নতুন লাগাতে হচ্ছে। হ্যাঁ যতক্ষণ আছে ততক্ষণ একটু আরাম। তা এই বেলুনগুলোকে মর্ত্যের লোকে কী বলে রে?
নন্দী - কন্ডোম
শিবঠাকুর - কন্ডেম?
নন্দী - না না বাবা। কন্ডেম কেউ কেউ করে বটে। কিন্তু নাম কন্ডোম। ডেম না, ডোম।
শিবঠাকুর- ডোম? সে তো অচ্ছুৎ! তার নামে বেলুন বের করেছে? আজব ব্যপার!
ভৃঙ্গির প্রবেশ
ভৃঙ্গি - মা বলে পাঠালেন উনি আসছেন একটু পরে
শিবঠাকুর - বেশ। বাতাস কর, বাতাস কর।

কয়েক ঘন্টা পর।
শিব আগের মতনই শুয়ে। চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ। অবসন্ন দেহ।

শিবঠাকুর - যাক বাবা এ বছরের মতো নিস্তার পাওয়া গেল। হ্যাঁ রে ভৃঙ্গী তোদের ওই ডোম বেলুনগুলো তো ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয়, না রে?
ভৃঙ্গি - আজ্ঞে হ্যাঁ বাবা
শিবঠাকুর - তা কতগুলো জমল রে?
ভৃঙ্গি - আজ্ঞে বাবা তিন হাজার
শিবঠাকুর - তিন হাজার! এক দিনে? তা ওগুলো ফেলবি কোথায় রে?
ভৃঙ্গি - সে আমি ঠিক ফেলে আসব।
শিবঠাকুর - কোথায় শুনি?
ভৃঙ্গি - আজ্ঞে বাবা, জেএনইউ তে।

4 comments:

  1. বাবারে......হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাচ্ছে ...তোমারে সেলাম.

    ReplyDelete
  2. জম্পেশ হয়েছে -

    ReplyDelete