টুবুলদের ছাদ থেকে একটা সাদা-বেগুনি মুখপোড়া বেড়ে উঠে ছোটকার পাছা টা কেটে দিয়েছে এইমাত্র। ওটাকে লটকাতে হবে। টুবুলের বোন আছে ছাদে। ইজ্জৎ কা সওয়াল। ময়ূরকণ্ঠী টা দিয়েই মাত করতে হবে। ঢিল ঢিল দে হারামজাদা! লাটাই ধরতে পারে না আবার ঘুড়ি ওড়ানোর শখ!
টুবুল, পটকা, বুবাই, চানু সবাই আজ প্রতিপক্ষ। ছাদে এদিক ওদিক করে ছড়িয়ে একতে দোতে মুখপোড়া পেটকাটির লাল কালো সাদা সবুজ শরীর, লাটাই, আঠার গামলা, ব্যান্ড এইড। মারকাটারি প্যাঁচের খেলায় শহীদ হচ্ছে ঘুড়ি, কাটা যাচ্ছে নাক, বেজে উঠছে কাঁসর ঘন্টা বিজয়ী ছাদে।
সুতো ছেড়ে, টেনে, বেড়ে, ক্রমে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে দুপুরের আকাশ। ভিলেন নারকোল গাছ খেয়ে নিচ্ছে পাঁচতের ভি আই পি গুমর। পটকার মায়ের সাধের প্যানসি আর ডালিয়া ফুলগাছ আজ এই মহারণে উলুখাগড়ার মত প্রাণ দিয়েছে তেতলার আলসে থেকে একতলার উঠোনে পতিত হয়ে।
টুবুলের বোন সানগ্লাস পরে আড়চোখে নজর রেখেছে ডাঁয়ে বাঁয়ের ছাদে। হাবুলের মেজোপিসির ছেলে মাঞ্জায় দু হাত কেটে রিটায়ার্ড হার্ট। বাবলু প্রেমিকার এসএমএস-এর উত্তর দিতে গিয়ে, মুহুর্তের অসাবধানতায় একখানা মোক্ষম মোমবাতি খুইয়ে ডিপ্রেশনে চলে গেছে।
ছোটকার পাঁচ বছরের মেয়ের ট্রেনিং চলছে। ছাদের ওপর দিয়ে ভেসে যাওয়া সুতো দেখলেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শিখে গেছে সে। পারিপিসিকে সুকৌশলে ম্যানেজ করে, বুড়িকে দিইয়ে ঢিলে ঘুড়ি বেঁধে নিজেদের ছাদে ট্রান্সফারও করিয়ে ফেলেছে কিকরে কে জানে। আর টুবুলের মাসতুতো ভাই ছোটকার পাছা, বিশুদার পেটকাটি আর চানুর বগগা কেটে এখন হিরো।
সাদা বেগুনি মুখপোড়াটা টার্গেট করে বাড়ছে একটা কমলা-সবুজ ময়ূরকণ্ঠী। ফ্যাঁত ফ্যাঁত সাঁই সাঁই করে উড়ে চলেছে ময়ূরকণ্ঠী সাদা-বেগুনি মুখপোড়ার দিকে। টানটান সুতো, খানখান করবে যেকোনো একজনের ঘুড়িয়াল ইমেজ। আর ঠিক তখনই প্যাঁচ এবং...
No comments:
Post a Comment